প্রাথমিক অবস্থায় কোম্পানীর অধিকৃত বাংলায় স্থায়ী জেলা ভাগ ও স্থায়ী শাসনাধিকরণ স্থাপিত না হওয়ায় প্রশাসনিক কাজে নিযুক্ত সিভিলয়ান ও ব্যবসা-বাণিজ্যরত শ্বেতাঙ্গরা দেশের যে যে স্থানে কেন্দ্রীভূত হয়ে অবস্থানপূর্বক স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করতেন, সে স্থানকে বলা হতো ‘স্টেশন’। তৎকালে উত্তরবঙ্গের প্রথম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টেশন’ ছিল দিনাজপুর শহর। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা দুরূহ ছিল। তদুপরি ছিল কর্মস্থলে বাসোপযোগী ঘরবাড়ীর প্রকট অপ্রতুলতা। সেই অবস্থায় ইংরেজদের পক্ষে পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মস্থলে বসবাসের কোন উপায় ছিল না। ফলে কলকাতায় স্ত্রী-পরিজনকে রেখে অধিকাংশ শ্বেতাঙ্গ তখন বাধ্য হয়ে কর্মস্থলে বাস করতেন। ব্রিটিশদের জন্য এটি ভীষণ দুর্বিসহ এক জীবন ছিল। কিন্তু অন্য কোন উপায় না থাকায় তারা নিঃসঙ্গতা ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কষ্ট দূর করার জন্য স্ব-স্ব কর্মস্থলে বা স্টেশনে খেলাধুলা, নাচগান, পানভোজন ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় চিত্তবিনোদনের জন্য যে সংস্থা গঠন করেন, তাকে বলা হতো ‘স্টেশন ক্লাব’।
দিনাজপুর স্টেশন ক্লাব একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এটি দিনাজপুরের বড় মাঠ সংলগ্ন একটি উন্মুক্ত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।
দিনাজপুর জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে এই ক্লাবের সভাপতি।
বর্তমান সভাপতির নামঃ মীর খায়রুল আলম, জেলা প্রশাসক, দিনাজপুর।
যোগাযোগঃ
রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী, সেক্রেটারী, ০১৭১৩২০০৬৫৩
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস