দিনাজপুর জেলা লিচুর জন্য বিখ্যাত। এ জেলায় বাংলাদেশের সেরা লিচু উৎপন্ন হয়। এ জেলায় বিভিন্ন জাতের লিচু উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মাদ্রাজী, বোম্বাই, বেদানা ও চায়না-৩। নিম্নে দিনাজপুর জেলার লিচু চাষ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
দিনাজপুর জেলায় লিচু আবাদের তথ্য
লিচু চাষের আওতায মোট জমি ১৫০০ হেঃ ( ৩৭০৫ একর)
মোট লিচু গাছের সংখ্যা
গড়ে ১ শতক জমিতে ১টি গাছ
গড়ে ১হেঃ জমিতে ২৪৭টি গাছ
১৫০০ হেঃ জমিতে ৩,৭০,৫০০ টি গাছ
লিচুর ফলনঃ-
গড়ে প্রতি গাছে ৪০০০ টি লিচু ( অন ইয়ার )
১৫০০ হেঃ (৩,৭০,৫০০ গাছ) ফলন ১৪৮,২০,০০০ টি
লিচুর মূল্যঃ-
(২০১২ ইং )
ক্রমিক নং |
জাত |
আগাম মুল্য (প্রতি ১০০টির) |
নাবী মূল্য (প্রতি ১০০টির ) |
মন্তব্য |
১। |
২০০/- |
৪০০/- |
আগাম |
|
২। |
২০০/- |
৪০০/- |
মধ্যম |
|
৩। |
৭০০/- |
১১০০/- |
মধ্যম নাবী |
|
৪। |
৬০০/- |
১১০০/- |
নাবী |
২০১২ ইং সালে ১৪৮,২০,০০০ লিচুর গড় মূল্য = ৩৭০ কোটি টাকা
উৎপাদনে / পরিচর্যা খরচ:
সার , নিড়ানী , সেচ ও বালাই নাশক এর একত্রে খরচ (গড় খরচ ) ৩৫,০০০/-
সব খরচ বাদে এক একরে গড়ে লাভ ৩,০০,০০০/- টাকা
জাত ভিত্তিক লিচুর উৎপাদনঃ-
মাদ্রাজী = ৩০%
বোম্বাই =৩৯%
বেদানা = ৫%
চায়না =২৫ %
কাঠালী বোম্বাই ১%
স্থান ভেদে লিচুর ব্যবহার
মোট উৎপাদনের প্রায় ২০% জেলায় ব্যবহার হয়
বাকী ৮০% দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়
লিচুর ভাল ফলন পেতে সময় ভিত্তিক করনীয়
সময় |
করনীয় কাজ |
বাস্তবায়ন পদ্ধতি |
জুন - জুলাই |
১। ফল সঙগ্রহের পরপর ডাল ছাটাই / কর্তন/ গুটি কলম করা ।
২। জলাবদ্ধতা না হতে দেয়া। |
১। ফল সংগ্রহের পরপর ডালের ১৫ - ২০ ভাগ ডাল ছাঁটাই করা । সরাসরি ছাঁটাই না করে গুটি কলম করলে ডাল ছাঁটাই এর কাজ করা হয়। ২। গোড়ায পানি যেন না জমে তার ব্যবস্থা নেয়া।
|
আগষ্ট - সেপ্টেম্বর ও মার্চ - এপ্রিল |
১। সার প্রয়োগ
২। ডলোচুন ব্যবহার
৩। মাকড় দমন |
১। অতি ফলন্ত গাছের গোড়ায় ৫০ কেজি কম্পোষ্ট , ২ কেজি পচাখৈল, ২কেজি ইউরিয়া , ১ কেজি টিএসপি, এবং .৫০০ গ্রাম্এমওপি এবং .৫০০ গ্রাম জিপসাম গাছের গোড়া থেকে কমপক্ষে ৩/৪ ফুট দুরে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া। ২। প্রতি গাছের গোড়ায় ১০০ গ্রাম ডলোচুন গ্রযোগ করা। ৩। গাছের পাতা বাদামী রঙ এর হয়ে কোকড়ানো এই ডাল/ পাতা অপসারন করে সালফার জাতীয় মাকড় নাশক ৭দিন পরপর ২বার প্রয়োগ করা। |
অক্টোবর - নভেম্বর |
১। মুকুল আসা নিশ্চিত করন। |
১। মুকুল আসা নিশ্চিত করনে পিজিআর / পসল উজ্জিবন (হরমন ) প্লনোকিক্স / ইথরেল/ বেফালন আনুমোদিত মাত্রায় ২ মাসে ২বার ডাল ও পাতায় স্প্রে করা। ২। ভাল ফলন রোধে সেচ বন্ধ রাখা । |
ডিসেম্বর |
১। আগাছা নিযন্ত্রন ২। মাকড় দমন |
১। গোড়া পরিস্কার ও কোপানো । ২। ২/৩ বার মাকড় নাশক ( থিওভিট / রনভিট / কুমুলাক্স ) স্প্রে করা। |
জানুয়ারী - ফেব্রয়ারী |
১। মুকুর বের হওয়া থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত। |
১। এক্রোবেট এম জেট / কনট্রাফ ছত্রাকনাশক পরিমিত মাত্রায স্প্রে করা । এনথাকনোজ রোগ দমনের জন্য এগুলি ছাড়া আদ্র ও কুয়াশা যুক্ত আবহাওয়ায় টপসিন / ট্রিল্ট / ব্যাভিষ্টিন সপ্তাহে ২ বার স্প্রে করা । |
মার্চ- এপ্রিল |
ফল ও গাছের অবস্থা সতেজ করার জন্য। |
১। অনুখাদ্য ( ভস্ক্রল সুপার / ওকোজিম / ক্রপপ্লাস ) এই জাতীয দ্রব্যাদি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা্ ২। কচি ফল অবস্থায় চক পাউডার ২ গ্রাম ও বোরিক এসিড ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিযে স্প্রে করা। ৩। সাইপার মেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক ২ বার স্প্রে করা। |
মে |
১। ফলের অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য । |
১। ধারাবাহিক ভাবে সেচ দেয়া। ২। ফল ছিদ্র কারী পোকা দমনে ডায়জিনন / লেবাসিড/ সুমিথিযন স্প্রে করা । |
দিনাজপুর জেলায প্রধান প্রধান উৎপাদন এলাকা
সদরঃ-
১। কসবা
২। সৈয়দপুর
৩। মাসিমপুর
৪। মাহমুদপুর
৫। নশিপুর
৬। জযদেবপুর
বিরলঃ-
১। মাধববাটি
২। রসুর শাহ পুর
৩। রানী পুকুর
৪। মংগলপুর
৫। মাটিআন দিঘী
৬। আজিমপুর
৭। লক্ষীপুর
৮। জগতপুর
৯। রাজুরিয়া
বীরগঞ্জঃ-
১। চাকাই
২। কল্যানী
৩। পাল্টাপুর
৪। ধূলা উড়ি
৫। মরিচা
৬। শিবরামপুর
চিরিরবন্দরঃ-
১। গলাহার
২। আরাজি গলাহার
৩। কাদরা
৪। কৃষনপুর
৫। জয়
বিরামপুরঃ-
১। শিমুলতলী
২। দূর্গাপুর
৩। মামুদপুর
৪। মির্জাপুর
লিচু ক্রয় বিক্রয় স্থানঃ-
১। কালিতলা , সদর
২। মাধববাটি , বিরল
৩। মাদারগঞ্জ হাট , চিরির বন্দর
৪। বীরগঞ্জহাট , বীরগঞ্জ
৫। মাসিমপুর, পুলহাট , দিনাজপুর সদর ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস